রায়েরছড়া সদরাবাড়ী মডেল একাডেমী জামালপুর জেলার অন্তর্গত মাদারগঞ্জ উপজেলার ৭নং সিধুলী ইউনিয়নের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছিলেন রায়েরছড়া ও সদরাবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ, চিন্তশীল উদারচিত্ত মহৎ প্রাণ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জমি গ্রহণ থেকে শুরু করে অর্থায়ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রুপ ধারণ করে। যাদের ত্যাগ তিতিক্ষায় বিদ্যালয়টি অদ্যবধি পর্যন্ত চলে আসছে, তারা কেউই এখন বেঁচে নাই। আমি তাদের সকলের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি। বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকগণ নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রতি বৎসর পাবলিক পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল করে আসছে। যাহা উপজেলার মধ্যে অন্যতম। এই বিদ্যালয়টি তৈরি করে যাচ্ছে অসংখ্য মেধাবী ব্যাক্তিত্ব, আজও সেই দ্বীপ শিখা উজ্জ্বল।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন, যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমি বিদ্যালয়ের প্রতি নিরন্তন ভালবাসা ও উন্নতি কমনা করে যাব। আমিন।
-প্রধান শিক্ষক, রায়েরছড়া সদরাবাড়ী মডেল একাডেমী
শিক্ষা মানুষের মধ্যে সুপ্ত মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে তাকে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার উপযুক্ত শিক্ষাই কোন জাতি বা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বুনিয়াদি গড়ে তোলে এবং ক্রমোন্নতির অপরিহার্য্য সহায়ক হয়ে উঠে। রায়েরছড়া সদরাবাড়ী মডেল একাডেমী ধীরে ধীরে আজকের চরম সভ্যতার ও বিকাশের মূলে আছে মানুষের অফুরন্ত শ্রম। যারা পরিশ্রম করে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন সভ্যতার তিলোত্তমা মুর্তি। তাঁদের নাম ইতিহাসে লেখা নাই। মানুষ প্রকৃতি থেকে প্রথম শিক্ষা গ্রহণ করে। রায়েরছড়া সদরাবাড়ী মডেল একাডেমীটি ঐতিহ্যবাহী দুটি গ্রমের নামে নামকরণ করা হয়েছে।একটি সরদাবাড়ী আর অপরটি হলো রায়েরছড়া।দুই গ্রামের বন্ধুসুলভ পরামর্শে ১৯৮৭ সালে থেকে শুরু করে পরবর্তী ১৯৯২ সারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মঞ্জরী পায়।
বিদ্যালয়টি ঝিনাই নদীর শাখার তীরবর্তীতে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে একটি পাকা রাস্তা আছে। যাহা মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যালয়ের গৃহটি ৮৫ ফুট লম্বা একতলা ভবন আর একটি বড় টিনের ঘর। গগণচুম্বী অট্রালিকা না হলেও দেখতে অতি মনোরম। বিদ্যালয়ের চারিদিকে সবুজ-শ্যামল ঘন বিস্তৃতি মাঠের মধ্যে কৃঞ্চচুড়া গাছের নীচে দাঁড়ালে সবার চোখ জুড়ায়।
বিদ্যালয় গৃহটি দৈর্ঘ্য ৮৫ ফুট, প্রস্থ ২০ ফুট এর একটি বারান্দা এবং ৯টি কক্ষ আছে। তন্মধ্যে একটি অফিস ও শিক্ষক মিলনায়তন এবং একটি প্রধান শিক্ষকের রুম, আর বাকী ৭টি শ্রেণিকক্ষ। শ্রেণিক্ষক প্রতিটিতেই য়োজনীয় আসবাবপত্র আছে। বিদ্যালয়টি ১০:৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ৪:১৫ ঘটিকায় ছুটি হয়, মাঝে ৪০ মিনিট টিফিন ও নামাজের বিরতি। বিদ্যালয়ের সামনে একটি খেলার মাঠ আছে। পরিশেষে বলা যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের মনোরম পরিবেশসহ বিনোদনের প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যব্স্থা আছে।